শাকিরাকে কে না চেনে ! শাকিরা এমন একজন তারকা, যিনি তাঁর গানের গলা ও নাচে সবার মন জয় করতে পারেন।  গত মাসেই ৪৪-এ পা দিয়েছেন। অবিশ্বাস্য এই সংখ্যাকে, শুধু সংখ্যাই বানিয়ে রেখেছেন। এখনো নিজের জগৎকে ঝলমলেই রেখেছেন।

তিন-তিনবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন শাকিরা। নতুন অ্যালবাম বাজারে আসতেই হুহু করে বিক্রি হয়ে যায়। সবাই এককথায় শাকিরা-শাকিরা বলে ওঠেন। তাঁর গানের তালে নেচে ওঠেন।  কলম্বিয়ান এই শিল্পীর প্রায় সাত কোটি রেকর্ড বিক্রি হয়েছিল, যা ছিল বিশ্বরেকর্ড। গান বিক্রির এই টাকা দিয়ে শাকিরা স্পেনের বার্সেলোনা, যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, উরুগুয়ে আর বাহামার নাসাওতে কয়েকটি বাড়ি কিনেছেন।

শাকিরার স্টেজ পারফরম্যান্স সবার থেকে আলাদা। তিনি যেন একাই হয়ে ওঠেন মধ্যমণি। শাকিরার স্টেজ পারফরম্যান্স সবার থেকে আলাদা। তিনি যেন একাই হয়ে ওঠেন মধ্যমণি। শুধু কণ্ঠ দিয়েই জগৎ মাতিয়েছেন শাকিরা। কণ্ঠের জাদুতে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থাকে আমূল বদলে ফেলেছেন।

মিয়ামিতে শাকিরার যে বাড়িটি রয়েছে, তার দাম কম করে হলেও ১৫ কোটি টাকা। এটি অতটা বড় নয়। মাঝেমধ্যেই এখানে বেড়াতে আসেন শাকিরা। সমুদ্রের দিকে মুখ করা এই বাড়ির পাশেই থাকেন জেনিফার লোপেজ, কেভিন ক্লেইন আর ম্যাট ডেমনরা। এক বছরের বেশি সময় ধরে বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা করছেন শাকিরা। বাহামার নাসাওয়ে শাকিরার বাড়িটি মূলত একটি দ্বীপ। এই বাড়ির দাম প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
এসব বাড়ি, গাড়ি, অর্থ, পণ্যদূত হিসেবে সম্মানী মিলিয়ে শাকিরার মোট সম্পদের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা মাত্র। তিনি নাম লিখিয়েছেন বিশ্বের সেরা ধনী নারীদের তালিকায়।

শাকিরার গান শুধু নয়, সৌন্দর্যের কদরও করে গোটা দুনিয়া। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ হিসেবে পরিচিত টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব সেবারই প্রথম পেয়েছিল আফ্রিকার কোনো দেশ । ২০১০ সালের বিশ্বকাপ মাতিয়ে দিয়েছিল স্পেন। জাভি-ইনিয়েস্তা-পুওলদের টিকিটাকা ফুটবল ঝড় তুলেছিল বিশ্বে। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে ২০১০ বিশ্বকাপের থিম সং জায়গা করে নিয়েছিল কোটি কোটি মানুষের মনে।

কেমন ছিল ‘ওয়াকা ওয়াকা’র জনপ্রিয়তা? ওই বছর বিশ্বের ১৫টি দেশে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিওর তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল শাকিরার ৩ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই গানটি। এখন পর্যন্ত ইউটিউবে ওয়াকা ওয়াকার মোট ভিউ ২৫০ কোটি! এমনকি ফিফার নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করা সর্বকালের সব ভিডিওর মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে এটি রয়েছে ২৮ নম্বরে। মনে রাখা জরুরি, ফিফার আপলোড করা অধিকাংশ ভিডিওই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচের ফুটেজ। তার অনেকগুলোকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে এই গান। ফুটবল বিশ্বকাপের ৯০ বছরের ইতিহাসে তো বটেই, খেলার ইতিহাসে এমন জনপ্রিয় গান আর তৈরি হয়নি।